Allah Declares that, “And whatsoever Rasulullah Swallallahu Alaihi Wa Sallam gives you, take it, and whatsoever He forbids you, abstain (from it), and fear Allah. Verily, Allah is Severe in punishment.” (Sura Al-Hashr / 7). Hadis Shareef says, “You start Ramadan by sighting the moon and do celebrate Eid also by sighting the moon.”
দ্বীন ইসলাম এর আদীভূমি আরব হতে সৌদী ওহাবী সালাফীদেরকে উচ্ছেদ করে ইসলামকে স্বমহিমায় যারা প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাদের জন্য তৈরী এ ব্লগ। এ ব্লগের জন্য আপনারা দেশ বিদেশ হতে সৌদী ওহাবী সালাফীদের যে কোন ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতার প্রামান্য দলীল আমাদের কাছে প্রেরন করে অশেষ সওয়াবের ভাগীদার হোন। বলাবাহুল্য বর্তমান বিশ্বে সবচাইতে আতংক সৃষ্টিকারী কুফরী শেরকী দলসমূহের প্রধান নেতৃত্বে রয়েছে-বর্তমান সৌদী ওহাবী সালাফী গং। অতএব আর দেরী নয়, ওহে মুমিন মুসলেমীন-আরব হতে ওহাবী রাজ তাড়িয়ে করো বিলীন।
Friday, July 29, 2011
Thursday, July 28, 2011
সৌদী ওহাবী সালাফীরা প্রতি আরবী মাসে চাঁদ দেখে মাস গণণা করতে মহা-প্রতারনা করে!
অথচ সউদী আরবের ওহাবী সরকারসহ প্রায় সমস্ত দেশের সরকার চাঁদ দেখার প্রহসন করে মনগড়া তারিখে আরবী মাস শুরু করে।মুসলমানদের ফরয রোযা আদায়ের সুবিধার্থে সউদীসহ সকল সরকারকে চাক্ষুষ চাঁদ দেখে রমাদ্বান শরীফ শুরু করতে হবে।কেউ যেন মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে রমাদ্বান শরীফ মাস এক দিন আগে শুরু করতে না পারে সে ব্যাপারে সকল মুসলমানকে সচেতন থাকতে ও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। চাঁদ দেখা বা তালাশ করার বিষয়টি ইসলামী শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ ইসলামের অধিকাংশ আমলগুলোই চাঁদের তারিখের সাথে সম্পর্কযুক্ত। যেমন শবে বরাত, শবে ক্বদর, আশূরা, কুরবানী, হজ্জ, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও পবিত্র রমাদ্বান শরীফসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফযীলতপূর্ণ দিন ও রাত। চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে মাস শুরু হলে উল্লিখিত আমলগুলোও সঠিক তারিখে পালিত হবে; এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর যদি চাঁদ না দেখে মনগড়াভাবে আরবী মাসের তারিখ ঘোষণা করা হয় বা মাস শুরু করা হয়, তবে উল্লিখিত আমলগুলো সঠিক তারিখে না হওয়ার কারণে সমস্ত আমলগুলোই নষ্ট হয়ে যাবে নিঃসন্দেহে। তাই পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ ও ফিক্বাহ শাস্ত্রে চাঁদ দেখার ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সূরা ইউনুস-এর ৫ নম্বর আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তিনিই সেই মহান সত্ত্বা যিনি বানিয়েছেন সূর্যকে উজ্জ্বল আলোকময় আর চাঁদকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারণ করেছেন এর জন্য মনযিলসমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব।” এই আয়াত শরীফ-এ অনেকগুলো বিষয়ের সাথে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব রক্ষার সাথে চাঁদের মনযিলের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ চাঁদের মনযিলের অবস্থা না দেখে কখনো চাঁদের মাসের হিসাব রক্ষা করা সম্ভব নয়। সুতরাং কেউ যদি চাঁদের মনযিলের বিষয়টিকে উপেক্ষা করে, চাঁদ না দেখে মনগড়া তারিখে আরবী মাস শুরু করে তাহলে অবশ্যই তা শরীয়তে গ্রহণযোগ্য হবে না। বিভিন্ন আরবী মাসে মুসলমানদের যে আমলের বিষয়টি রয়েছে তা চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে মাস শুরু হওয়ার উপর নির্ভরশীল। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আমার উম্মত সহজ-সরল হবে। তাদের কেউ কেউ হিসাব নিকাশে তত দক্ষ হবে না। আরবী মাস হয় ২৯ দিনে হবে নতুবা ৩০ দিনে হবে।” তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ করেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোযা শুরু করো এবং চাঁদ দেখে ঈদ কর। যদি ২৯ তারিখ কোনো কারণে চাঁদ দেখা না যায় তবে মাস ৩০ দিনে পূর্ণ কর।” মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এর সূরা বাক্বারা-এর ১৮৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তারা আপনাকে বাঁকা চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। আপনি বলুন, এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারক ও হজ্জের সময় নিরূপণকারী।” এ আয়াত শরীফ-এ স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “চাঁদ সময় নির্ধারক।” তবে কিভাবে চাঁদ দেখে সময় নিরূপণ করতে হবে তার বর্ণনাও হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে। যেহেতু রমাদ্বান শরীফ-এ আকাশ পরিষ্কার থাকলে অধিক সংখ্যক লোকের চাঁদ দেখা প্রয়োজন আর আকাশ মেঘলা থাকলে একজন পুরুষ অথবা একজন মহিলার সাক্ষ্যও গ্রহণযোগ্য; তাই এই সুযোগে সউদী আরবের ওহাবী সরকারের অনুসারী এদেশের সালাফী ওহাবী, জামাতী, দেওবন্দী, খারিজীরা সউদী ওহাবী সরকারের পথ ধরে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে মাস একদিন আগে শুরু করার চেষ্টা করতে পারে। সুতরাং সকল সচেতন মুসলমানকে এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। |
Subscribe to:
Posts (Atom)